মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া
প্রকাশিত: ২৩/১০/২০২৩ ৯:৫৫ এএম

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের জায়গা জবরদখল করে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করছে। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী সফিউল আলমের নেতৃত্বে বনকর্মীরা রাজাপালং ইউনিয়নের মহরিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি দালান আদালতের নির্দেশে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জালাল উদ্দিন ওরফে জানুর বনভূমি দখল করে এই দালান নির্মাণ করছিল। অন্যটি মানুনের নির্মাণ করেছিল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে তৈরি করেছে বিল্ডিং কিন্তু উপরে রং এর পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে মাটি, বাহিরে দেখতে যাতে বুঝা না যায় এটি বিল্ডিং। কিন্তু বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিতে না পেরে আদালতের নির্দেশে রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বনবিভাগের অভিযানে উচ্ছেদ করা হয়ে দুইটি ঘর।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী সফিউল আলম এর নেতৃত্বে উখিয়া থানা পুলিশ ও দৌছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদ সহ বনকর্মীরা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়৷

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মহরিপাড়া এলাকায় মামুনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জালাল উদ্দিন জানুর অবৈধ ঘর।উচ্ছেদ করে বনবিভাগ যায়গা একুয়ার করে লাল পতকা দেওয়া হয়৷

এবিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী সফিউল আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সরকারি যায়গা উদ্দেশ্যে করা হয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, কোনভাবেই কাউকে বনভূমি দখল করতে দেয়া হবে না। উখিয়া রেঞ্জে কেউ বনভূমি দখলের অপচেষ্টা চালালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে উখিয়ার বিভিন্ন এলকায় কিছু ভূমিদস্যূ বনবিভাগের জায়গা দখল করে স্থাপনা বা ঘর নির্মাণ করছে। তাদের বিরোদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। যারা বন আইন মানবে না তাদের বিরোদ্ধ বনবিভাগ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম জানান, বনবিভাগ এলাকা সংরক্ষিত। এইসব জায়গা আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে পরিবেশ রক্ষা পাবে। কিন্তু এখন কিছু অসাধু ভূমিদস্যূ বনবিভাগের জায়গা দখল করে ঘর করা শুরু করে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।

পাঠকের মতামত